বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ।
মঙ্গলবার রাতে প্রেরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে দলের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এই ধরণের অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করাসহ অপপ্রচারকারী মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুকে চকরিয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণার কথাও বলা হয়। একই সাথে তার এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিলে কঠোর আন্দোলন এবং আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাজাকারপুত্র মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ব্যক্তিগতভাবে একজন চিন্হিত প্রতারক, সন্ত্রাসী। পল্টু এবং তার সব ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানুষের জমি দখল, বিকাশ এজেন্টের টাকা লুট, মোটর সাইকেল চুরিসহ বিস্তর অভিযোগে অসংখ্য মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি রয়েছে। সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুল তথ্য দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছবি তুলে তা দেখিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর বাবা নুরু মেস্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া, সহায়-সম্পদ লুট করার কাজে জড়িত ছিলেন। চকরিয়ার আলোচিত রাজাকার রফিক প্রকাশ দালাল রফিকের সাথে থেকে নুরু মেস্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চকরিয়া পৌরসভার বর্তমান বাটাখালী সুশীল পাড়া, জলদাস পাড়া, হিন্দুপাড়াসহ স্বাধীনতার সপক্ষের লোকজনের বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছেন। যা প্রবীণ ব্যক্তি সবারই জানা রয়েছে। কিন্তু সেই রাজাকারপুত্র মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত সৈনিক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মনোনীত ও জনতার জাফর আলমের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমরা নেতৃবৃন্দরা এমপি জাফর আলমকে নিয়ে এই অপপ্রচারের জবাব রাজনৈতিকভাবে এবং আইনগতভাবে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিবৃতিতে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, মুজিবুল হক রতন, আবু মুছা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজিমুল হক আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শওকত ওসমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, দপ্তর সম্পাদক আবদুল জলিল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল হক, অর্থ সম্পাদক বদরুল আলম, সদস্য একেএম শাহাবুদ্দীন, জামাল উদ্দিন, ফিরোজ আহমদ চৌধুরী, আতিক উদ্দিন হানু প্রমূখ উপজেলা নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, সহ-সভাপতি তপন কান্তি দাশ, জসীম উদ্দিন, আবু তালেব, নুরুল আমিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার সুশীল, ফেরদৌস ওয়াহিদ, সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান লিটন, ফরিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম রাসেল, সমাজসেবা সম্পাদক পৌরকাউন্সিলর ফোরকান আরা, প্রচার সম্পাদক আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেল, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রীনা আক্তার প্রমূখ পৌরসভার নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ১৮টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের তীব্র প্রতিবাদ ঃ
এদিকে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। মোজাফ্ফর আহমদ পল্টু নামে এক ব্যক্তি কর্তৃক চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন, মনগড়া, কাল্পনিক সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এম শহিদুল্লাহ বিএ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
লিখিত এক বিবৃতিতে উপজেলা আ’লীগের এ দুই নেতা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাফর আলমের তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ হয়ে নৌকা উপহার দিলে বিপুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপি-জামায়াতের সরকার আমলে শত নির্যাতন ও জেল জুলুমের পরও দলের আদর্শ থেকে বিচ্ছুতি হয়নি। এছাড়াও চকরিয়া উপজেলা আ’লীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংগঠিত করেছে তৃণমূল আ’লীগকে। বর্তমানে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাফর আলম এমপি সাহেবের হাত ধরে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়কে বাধাগ্রস্ত করতে মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু নামে এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার শুরু করেছে। আমরা মনে করি পল্টু বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট বাস্তবায়ন করতে সাংসদকে রাজাকারপুত্র বলে চরম মানহানী করে যাচ্ছে। এছাড়াও মানবতাবিরোধী অপরাধ, মাদক ব্যবসায়ী, গরু চুরি ও গণ দুশমন নামে খ্যাত মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু চকরিয়া-পেকুয়ার আ’লীগ নেতাকর্মীদের আঘাত দিয়েছেন। তার অপরাধকর্ম আড়াল করতে জনপ্রিয় একজন নেতার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে তার এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিলে কঠোর আন্দোলন ছাড়াও পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের প থেকে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।